
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের সঙ্গে একটি খনিজ সম্পদ চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে একাধিক লক্ষ্য অর্জনের পথে রয়েছেন। এই চুক্তির মাধ্যমে তিনি ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে, রাশিয়ার সাথে চলমান সংঘাতের সমাধানে প্রভাব বিস্তার করতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা তহবিলের কিছু ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সক্ষম হবেন।
ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনে যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে বৃহত্তর আলোচনার অংশ হিসেবে রেয়ার আর্থ খনিজ সম্পদের চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে। প্রথমে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও, ট্রাম্প প্রশাসন কিয়েভকে খনিজ চুক্তির একটি সংশোধিত সংস্করণ উপস্থাপন করেছে।
ট্রাম্পের এই কৌশল এক গুলিতে তিনটি লক্ষ্য পূরণের প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে:
1. যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ নিশ্চিতকরণ: চুক্তির মাধ্যমে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ নিশ্চিত হবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করবে।
2. রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের সমাধান: চুক্তির শর্তাবলী ইউক্রেনকে রাশিয়ার সাথে শান্তি আলোচনায় বসতে উৎসাহিত করতে পারে, যা সংঘাতের সমাধানে সহায়তা করবে।
3. প্রতিরক্ষা তহবিল পুনরুদ্ধার: চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতিরক্ষা তহবিলের কিছু ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে, যা ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা প্রদানের ফলে হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, ইউক্রেনের জন্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করা প্রায় অপরিহার্য হয়ে পড়েছে, কারণ এটি তাদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বার্থের সঙ্গে জড়িত।